কলকাতার সেরা গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং লিভার হাসপাতাল

ছোট মাত্রায়, স্ট্রেস একটি অনুপ্রেরণাদায়ক হতে পারে, আপনাকে আরও ভাল পারফর্ম করতে সাহায্য করে এবং বাধাগুলি অতিক্রম করার উপায় শেখায়। যাইহোক, যখন চাপ অনেক বেশি দায়িত্ব, অবাস্তব প্রত্যাশা এবং ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্বের সাথে তৈরি হয়, তখন এটি কাজের সাথে সম্পর্কিত চাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে উত্পীড়ন, হয়রানি এবং বৈষম্যের ফলেও মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে।কর্ম-সম্পর্কিত চাপ কর্মীদের ব্যস্ততা, মনোবল এবং উত্পাদনশীলতাকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করে বলে পরিচিত। এই সব সম্ভাব্য ব্যবসায়িক লক্ষ্য ক্ষতি করতে পারে.কাজের সাথে সম্পর্কিত চাপের লক্ষণগুলি কী কী?

• আত্মবিশ্বাসের অভাব

• উৎপাদনশীলতার অভাব

• নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতি

• বিড়ম্বনা

• মেজাজ পরিবর্তন

• ক্ষুধা কমে যাওয়া

• সামাজিক পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা

স্ট্রেস থেরাপির সুবিধা কী?সাইকোথেরাপি কর্মীদের নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতিগুলিকে ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ প্রদান করে, যার ফলে চাপ কম হয়। থেরাপির কিছু সুবিধার মধ্যে রয়েছে:

• উদ্বেগ বাড়ায় এমন ট্রিগার বা চিন্তা শনাক্ত করতে শিখুন

• নিজেকে ভালোভাবে বুঝুন, যা আত্মবিশ্বাসের মাত্রা বাড়ায়।

• আরাম করতে এবং শান্ত থাকতে শিখুন

• সহকর্মীদের সাথে ব্যস্ততা বৃদ্ধি

• অনুপস্থিতি এবং টার্নওভার হ্রাস

উদ্বেগ হল ভয় বা নার্ভাসনের অনুভূতি যা আমরা সকলেই অনুভব করি যখন কোনো সমস্যার সম্মুখীন হই বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটি একটি স্বাভাবিক আবেগ। যাইহোক, যখন একজন ব্যক্তি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন বোধ করেন এবং অনুভূতিটি দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থায়ী হয়, তখন তাকে বলা হয় উদ্বেগজনিত ব্যাধিতে ভুগছেন।

উদ্বেগজনিত ব্যাধি হল মানসিক চাপের জন্য একটি খারাপ প্রতিক্রিয়া। এটি ক্রমাগত উদ্বেগ এবং ভয় যা একজন ব্যক্তিকে স্বাভাবিকভাবে জীবন চালিয়ে যেতে বাধা দেয়।

আপনার উদ্বেগজনিত ব্যাধি আছে কিনা আপনি কিভাবে বুঝবেন?

উদ্বেগ একেক জনের কাছে একেক রকম মনে হতে পারে। কারো জন্য এটি পেটে প্রজাপতি, অন্যদের জন্য এটি ধড়ফড়। কেউ কেউ এমনকি শরীর এবং মনের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন অনুভব করতে পারে। কিছু সাধারণ লক্ষণ ও উপসর্গ হল:

• আতঙ্ক, ভয় এবং অস্বস্তি

• ঘুমের ব্যাধি

• স্থির বা শান্ত থাকতে অক্ষম

• ঠান্ডা পা

• ধড়ফড়

• শুষ্ক মুখ

• বমি বমি ভাব

• টান পেশী

• শ্বাসকষ্ট

কেন উদ্বেগজনিত ব্যাধির জন্য একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করবেন?

আশ্চর্যের বিষয় হল, স্ট্রেসের প্রতি প্রত্যেক ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া এবং এটি মোকাবেলা করার ক্ষমতা নির্ভর করে তার সামাজিক-সাংস্কৃতিক পটভূমি এবং জেনেটিক প্রবণতার উপর।

এর মানে হল প্রতিটি ব্যক্তির লক্ষণ উপস্থাপন, অসুস্থতার ব্যাখ্যা এবং মোকাবেলার ক্ষমতা আলাদা। শুধুমাত্র একজন যোগ্য এবং অভিজ্ঞ সাইকোথেরাপিস্ট এই লক্ষণগুলির জন্য একজন ব্যক্তির দ্বারা নির্ধারিত অর্থ এবং গুরুত্ব বুঝতে পারেন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক কারণগুলি এটিকে চালিত করে৷

উদ্বেগজনিত ব্যাধিকে নিজে পরিচালনা করার চেষ্টা করার পাশাপাশি (যেমন: পেশাদার সাহায্য না নিয়ে Google-এ পড়া) উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

উদ্বেগ ব্যাধি কি নিরাময়যোগ্য?

এপিডেমিওলজি এবং সাইকোবায়োলজির উন্নয়ন সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উদ্বেগজনিত ব্যাধি সম্পর্কে আমাদের বোঝার উল্লেখযোগ্যভাবে অগ্রসর হয়েছে। এই ব্যাধিগুলির ফার্মাকোথেরাপি এবং সাইকোথেরাপির অগ্রগতিগুলি অনেক লোকের জন্য লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি এবং কার্যকারিতার উন্নতির জন্য বাস্তবসম্মত আশা নিয়ে এসেছে৷

দুশ্চিন্তার সাধারণ লক্ষণগুলি কী কী?

• মনযোগে অক্ষমতা

• অস্থিরতা

• অধিকাংশ পরিস্থিতিতে নেতিবাচক ফলাফলের কথা চিন্তা করা

• অতিরিক্ত ফোবিয়াস (উচ্চতা, অন্ধকার ইত্যাদির ভয়)

• হঠাৎ কাঁপুনি, মুখের শুষ্কতা, মাথা ঘোরা, ধড়ফড় ইত্যাদি

• অনেক সময় দুশ্চিন্তা হতাশার সাথে উপস্থাপন করে

উদ্বেগ মোকাবেলা করার জন্য কিছু দরকারী টিপস কী কী?

• ক্যাফেইন কমিয়ে দিন, কারণ এটি একটি মেজাজ পরিবর্তনকারী ওষুধ এবং উদ্বেগের লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ করে তোলে।

• ভালভাবে সুষম খাবার খান এবং ব্যায়ামকে অগ্রাধিকার দিন।

• ঘুমের ব্যাধি এবং দুশ্চিন্তা একসাথে চলতে থাকে। ঘুমের পরিচ্ছন্নতাকে অগ্রাধিকার দিন।

• একটি ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন এবং স্বীকার করুন যে আপনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

• আপনার ট্রিগার বুঝুন।

আমরা সকলেই মাঝে মাঝে দুঃখ অনুভব করি। কিন্তু বিষণ্ণতা শুধু নীল অনুভূতির চেয়ে বেশি। এটি হতাশা এবং চরম দুঃখের অনুভূতি যা মাত্র কয়েক দিনের বেশি স্থায়ী হয়। এটি একজন ব্যক্তির দৈনন্দিন কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করে এবং দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।বিষণ্নতা হল সবচেয়ে সাধারণ মানসিক ব্যাধিগুলির মধ্যে একটি যার সাথে বিশ্বব্যাপী 250 মিলিয়নেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত (WHO)।আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনি বিষণ্ণ?এখানে বিষণ্নতার কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে:

• আন্দোলন এবং খিটখিটে মেজাজ

• দুঃখ বা আশাহীনতার অবিরাম অনুভূতি

• এমনকি সাধারণ সিদ্ধান্ত নিতেও অসুবিধা

• সামাজিক বিচ্ছিন্নতা

• ক্লান্তি

• ঘুমের ব্যাঘাত

• উল্লেখযোগ্য ওজন হ্রাস বা ওজন বৃদ্ধি

• পুনরাবৃত্ত আত্মহত্যার চিন্তা

বিষণ্নতার কারণ কী?জীবনের কিছু ঘটনা যেমন পরিবারের সদস্যের মৃত্যু, প্রিয়জনের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা বিষণ্নতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। আর্থিক সমস্যা এবং কর্মক্ষেত্রে চাপের পরিবেশও একটি ভূমিকা পালন করতে পারেব্যক্তিত্ব: কিছু ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য বিষণ্নতার ঝুঁকি বাড়ায়। কম আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা এবং যারা গুরুতরভাবে স্ব-সমালোচনা করেন তারা বেশি সংবেদনশীল।অসুস্থতা: দীর্ঘস্থায়ী বা প্রাণঘাতী অসুস্থতা কিছু ব্যক্তির মধ্যে বিষণ্নতা সৃষ্টি করে।ড্রাগ বা অ্যালকোহল অপব্যবহার: অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন বা ওষুধের ব্যবহার একজন ব্যক্তির বিষণ্নতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারেআপনার সাইকোথেরাপিস্ট কীভাবে বিষণ্নতা নির্ণয় করেন?বিষণ্নতা নির্ণয় করতে সাহায্য করে এমন কোনো পরীক্ষা নেই। আপনার লক্ষণ এবং একটি মনস্তাত্ত্বিক মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, আপনার সাইকোথেরাপিস্ট আপনার মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার মূল্যায়ন করার জন্য আপনার মেজাজ, ঘুমের ধরণ, কার্যকলাপের স্তর, ক্ষুধা ইত্যাদি সম্পর্কে একটি সিরিজ প্রশ্ন করবেন।কিভাবে চিকিৎসা করা হয়?বিষণ্নতার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন পন্থা রয়েছে। চিকিৎসার কিছু পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে:

• ফার্মাকোথেরাপি

• ইন্টিগ্রেটিভ সাইকোথেরাপি

• কগনিটিভ আচরণগত থেরাপি

• সাইকোডাইনামিক থেরাপি

• হালকা থেরাপি

• বিকল্প থেরাপি যেমন ধ্যান বা আকুপাংচার

একটি প্যানিক অ্যাটাক হল যখন একজন ব্যক্তি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বা ভয়ে আচ্ছন্ন হয়ে যায় কোনো আপাত বিপদ ছাড়াই। এই পর্বগুলি ভীতিকর হতে পারে এবং এতে আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত মনে করেন যে তার হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে বা নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে বা এমনকি মারা যাচ্ছে। প্যানিক অ্যাটাক যেকোনো সময়, এমনকি ঘুমের মধ্যেও হতে পারে।যদি একজন ব্যক্তির পুনরাবৃত্ত পর্ব থাকে এবং অন্য আক্রমণের ক্রমাগত ভয়ে উল্লেখযোগ্য সময় ব্যয় করে, তবে তার প্যানিক ডিসঅর্ডার হতে পারে।আপনি কিভাবে বুঝবেন এটি একটি প্যানিক অ্যাটাক?প্যানিক অ্যাটাক হল ভয়ের আকস্মিক এবং শক্তিশালী অনুভূতি। এখানে কিছু লক্ষণ রয়েছে যা প্যানিক অ্যাটাকের ইঙ্গিত দেয়:

• দ্রুত হার্টবিট

• ঘাম

• কাঁপানো

• শ্বাসকষ্ট

• বুকে ব্যথা

• বমি বমি ভাব

• মাথা ঘোরা

• ঝনঝন সংবেদন

• হট ফ্ল্যাশ বা ঠান্ডা লাগা

এই পর্বগুলি সাধারণত সংক্ষিপ্ত হয় এবং 10 মিনিটের বেশি স্থায়ী হয় না। যাদের একবার প্যানিক অ্যাটাক হয়েছে তাদের আরেকবার প্যানিক অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি যাদের আগে কখনও প্যানিক অ্যাটাক হয়নি তাদের তুলনায়।আতঙ্কের আক্রমণের কারণ কী?যদিও সঠিক কারণ অজানা থেকে যায়, তবে কিছু কারণ রয়েছে যা আপনাকে ঝুঁকিতে ফেলে। এর মধ্যে রয়েছে:

• জেনেটিক ফ্যাক্টর

• গুরুতর চাপ

• ভয় বা চাপের প্রতি সংবেদনশীলতা

• ট্রমাটিক অভিজ্ঞতা

• অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা ড্রাগের ব্যবহার

এটি কিভাবে নির্ণয় করা হয়?ডায়াগনস্টিক প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে রোগীর লক্ষণ, চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং আচরণের ধরণ বোঝার পাশাপাশি মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষার একটি সিরিজ। নির্দিষ্ট ল্যাব এবং/অথবা ইমেজিংয়ের প্রয়োজন হতে পারে অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা যা এই ধরনের উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে তা বাতিল করার জন্য।কিভাবে এর চিকিৎসা করা যায়?প্যানিক অ্যাটাকগুলি নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলির মধ্যে একটির সাহায্যে কার্যকরভাবে চিকিত্সা করা যেতে পারে:

• ঔষধ

• টক থেরাপি

• কগনিটিভ আচরণগত থেরাপি

• লাইফস্টাইল পরিবর্তন

রাগ এমন একটি আবেগ যা আমরা সকলেই সময়ে সময়ে অনুভব করি। রাগ প্রকাশ করা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক, এমনকি স্বাস্থ্যকর। যাইহোক, রাগ, অনিয়ন্ত্রিত রাগ বা রাগ যা দীর্ঘ সময়ের জন্য কম হয় না তা আপনার জীবন কেড়ে নিতে পারে সহিংসতা, হতাশা এবং এমনকি আত্মহত্যার দিকে নিয়ে যায়।রাগ ব্যবস্থাপনা হল ট্রিগারগুলিকে শেখা এবং স্বীকৃতি দেওয়া এবং নিজেকে বা অন্যকে আঘাত না করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া।

রাগের কারণ কী?রাগ অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক কারণের ফল হতে পারে। অভ্যন্তরীণ কারণগুলির মধ্যে অনুভূত ব্যর্থতা বা অবিচার অন্তর্ভুক্ত। বাহ্যিক কারণগুলি ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেমন অপমান বা বিশেষাধিকার বা সম্পত্তি হারানো।কার রাগ ব্যবস্থাপনা থেরাপি প্রয়োজন?যারা নিম্নলিখিতগুলি অনুভব করেন তাদের জন্য রাগ ব্যবস্থাপনা থেরাপি সুপারিশ করা হয়:

• অস্থির নেতিবাচক চিন্তাভাবনা

• শারীরিক সহিংসতায় লিপ্ত হওয়া

• ক্ষোভ বা শত্রুতার অবিরাম অনুভূতি

• আপনার রাগ দমন করার প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত অনুভব করুন

• অস্বাভাবিক আচরণ যেমন রেগে গেলে জিনিস ভাঙা

• বিস্ফোরণ সম্পর্কে উদ্বেগের কারণে মানুষ বা পরিস্থিতি এড়িয়ে চলুন

রাগ থেরাপি কি?রাগ থেরাপি হল একটি সাইকোথেরাপিউটিক প্রোগ্রাম যা আপনাকে রাগের সমস্যাগুলিকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে সাহায্য করতে পারে। অনেক কৌশল উপলব্ধ আছে, কিন্তু জ্ঞানীয় আচরণগত থেরাপি হল সবচেয়ে কার্যকর রাগ ব্যবস্থাপনা থেরাপি।আপনার রাগ ব্যবস্থাপনা থেরাপি সেশনের সময়, থেরাপিস্ট আপনাকে শেখাবেন:

• মননশীলতার অনুশীলন করুন

• আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন

• এমন পরিস্থিতি চিহ্নিত করুন যা আপনাকে রাগান্বিত করে

• রাগকে দৃঢ়তায় অনুবাদ করার দক্ষতা বিকাশ করুন

• নিজেকে শান্ত করুন

• পরিস্থিতির সমাধানের দিকে আপনার শক্তিকে পুনর্নির্দেশ করুন

• কার্যকরভাবে যোগাযোগ করুন

এখানে কিছু টিপস রয়েছে যা আপনাকে রাগ সামলাতে সাহায্য করতে পারে:

• একটি জার্নাল রাখুন

• আরো প্রায়ই ব্যায়াম করুন

• মননশীলতা ধ্যান অনুশীলন করুন

• একটি গঠনমূলক শখ খুঁজুন

অনিদ্রা একটি সাধারণ ঘুমের ব্যাধি যা একজন ব্যক্তির ঘুমিয়ে পড়া, ঘুমিয়ে থাকা বা খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে অসুবিধা সৃষ্টি করে। অনিদ্রা স্বল্পমেয়াদী হতে পারে, এক রাত থেকে কয়েক সপ্তাহ বা দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে, কয়েক মাস বা তার বেশি সময় ধরে সপ্তাহে 3 রাত ঘুম না হলে।অনিদ্রা দুই ধরনের হয়। প্রথম প্রকারে, যা প্রাথমিক অনিদ্রা নামে পরিচিত, রোগীর ঘুমের সমস্যার জন্য কোনো অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্যগত অবস্থা নেই। এটি পরিবেশগত কারণগুলির দ্বারা সৃষ্ট হয় যেমন শব্দ, আলো বা তাপমাত্রা, কিছু চাপ সৃষ্টিকারী জীবনের ঘটনা যেমন পরিবারের সদস্যের মৃত্যু, চাকরি হারানো ইত্যাদি।অন্যদিকে, সেকেন্ডারি অনিদ্রা মানে হল যে কিছু স্বাস্থ্যগত অবস্থা যেমন হাঁপানি, বিষণ্নতা, ক্যান্সার, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি কারণে ব্যক্তির ঘুমাতে অসুবিধা হয়। সেকেন্ডারি অনিদ্রার কিছু কারণের মধ্যে রয়েছে:

• বিষণ্নতা বা উদ্বেগ

• ক্যান্সার বা আর্থ্রাইটিসের ফলে ব্যথা

• উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানি, অ্যালার্জির জন্য ব্যবহৃত কিছু ওষুধ

• ক্যাফেইন, তামাক বা অ্যালকোহলের অত্যধিক ব্যবহার

• এন্ডোক্রাইন ডিজঅর্ডার যেমন হাইপোথাইরয়েডিজম

• ঘুমের ব্যাধি যেমন রেস্টলেস লেগ সিন্ড্রোম বা স্লিপ অ্যাপনিয়া

কি আপনাকে অনিদ্রার ঝুঁকিতে রাখে?প্রায় প্রত্যেকেরই মাঝে মাঝে ঘুমহীন বা অস্থির রাত থাকে। কিন্তু, কিছু কারণের কারণে অনিদ্রার ঝুঁকি বেশি যেমন:

• গুরুতর চাপ

• মাসিক চক্র এবং গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন

• মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা

• কর্মক্ষেত্রে ঘন ঘন শিফট পরিবর্তন করা

নিদ্রাহীনতা প্রতিরোধ করা যায়?একটি ভাল ঘুমের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা অনিদ্রা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এখানে কিছু টিপস আছে:

• ঘুমের রুটিন করুন। প্রতি রাতে একই সময়ে ঘুমাতে যান।

• দিনে ঘুম এড়াতে চেষ্টা করুন

• ঘুমানোর আগে ফোন ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন

• অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন

• প্রতিদিন ব্যায়াম করুন

• আপনার বেডরুম অন্ধকার এবং শান্ত করুন

কিভাবে অনিদ্রার চিকিৎসা করা হয়?সাধারণ জীবনযাত্রার পরিবর্তন যেমন ঘুমের অভ্যাস পরিবর্তন করা এবং স্ট্রেস ম্যানেজ করা বেশিরভাগ মানুষের ঘুম ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে। যাইহোক, যদি এগুলো কাজ না করে, তাহলে আপনার সাইকোথেরাপিস্ট নিম্নলিখিত এক বা একাধিক চিকিৎসা পদ্ধতির সুপারিশ করতে পারেন:

• কগনিটিভ আচরণগত থেরাপি

  1. উদ্দীপক নিয়ন্ত্রণ থেরাপি

  2. বিশ্রামের কৌশল

  3. হালকা থেরাপি

     • ফার্মাকোথেরাপি: একজন ব্যক্তিকে ঘুমিয়ে পড়তে বা ঘুমিয়ে থাকতে বা উভয়েই সাহায্য করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের ব্যবহার

     • বিকল্প থেরাপি যেমন যোগ বা ধ্যান

সাইকোসিস এমন একটি অবস্থা যা একজন ব্যক্তির মস্তিষ্ক কীভাবে তথ্য প্রক্রিয়া করে তার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। আক্রান্ত রোগী বাস্তবতার সাথে স্পর্শ হারিয়ে ফেলে এবং অবাস্তব জিনিস দেখে, শোনে বা বিশ্বাস করে। এটি যে ব্যক্তির সম্মুখীন হচ্ছে তার জন্য এটি ভীতিকর হতে পারে। কখনও কখনও, সে নিজেকে বা অন্যদের ক্ষতি করতে পারে।সাইকোসিস হঠাৎ করে শুরু হয় না। অগ্রগতি ধীরে ধীরে হয় এবং রোগের অগ্রগতির সাথে সাথে লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা যায়।সাইকোসিসের সতর্কতা লক্ষণগুলি কী কী?

• মনযোগ করতে সমস্যা হচ্ছে

• স্ব-স্বাস্থ্যের অভাব

• একাকী বেশি সময় কাটানো

• অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হওয়া

• কোনও আবেগ নেই

প্রাথমিক সাইকোসিসের লক্ষণগুলি কী কী?

• মনযোগ দিতে বা স্পষ্টভাবে চিন্তা করতে অক্ষমতা

• বন্ধু ও পরিবার থেকে দূরে থাকুন

• অস্বাভাবিক বিশ্বাস বা চিন্তা আছে

• অন্যরা যা করে না তা শুনুন, দেখুন বা স্বাদ নিন

সাইকোটিক পর্বের লক্ষণগুলি কী কী?

• হ্যালুসিনেশন: আশেপাশে কেউ না থাকলে কণ্ঠস্বর শোনা, সেখানে নেই এমন জিনিস দেখা, অদ্ভুত অনুভূতি এবং অনুভূতি অনুভব করা।

• ভ্রম: বাস্তবতার সাথে বিরোধী মিথ্যা বিশ্বাসকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখা।

সাইকোসিসের কারণ কী?সাইকোসিসের সঠিক কারণ সবসময় স্পষ্ট নয়, তবে কিছু সম্ভাব্য কারণের মধ্যে রয়েছে:

• জেনেটিক্স

• পরিবারের সদস্যের মৃত্যু বা যৌন নির্যাতনের মতো মানসিক আঘাত

• মাদকের ব্যবহার

• অসুখ যেমন

  1. মস্তিষ্কের টিউমার

  2. স্ট্রোক

  3. পারকিনসন রোগ

  4. আলঝাইমার রোগ

  5. ডিমেনশিয়া

  6. এইচআইভি বা অন্যান্য সংক্রমণ যা মস্তিষ্কে আক্রমণ করে

ব্যক্তিত্ব হল একজন ব্যক্তি জীবনকে যেভাবে দেখে, বাইরের জগতের সাথে সম্পর্ক রাখে এবং নিজেকে বোঝে। এটি চিন্তা, আবেগ এবং আচরণের অনন্য সমন্বয় যা একজনের ব্যক্তিত্ব তৈরি করে।পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার হল এমন একটি অবস্থা যেখানে ব্যক্তি এমনভাবে চিন্তা করে, অনুভব করে এবং আচরণ করে যা আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়, মানুষ এবং পরিস্থিতি বোঝার এবং সম্পর্কিত হতে কষ্ট এবং সমস্যা সৃষ্টি করে।ব্যক্তিত্বের ব্যাধি নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলিকে প্রভাবিত করে:

• একজন ব্যক্তি কীভাবে নিজের এবং অন্যদের সম্পর্কে চিন্তা করে

• একজন ব্যক্তি কীভাবে অন্য ব্যক্তি এবং পরিস্থিতির সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়

• আবেগজনক প্রতিক্রিয়া

• নিয়ন্ত্রিত আচরণ

কোন বিষয়গুলি আপনার ব্যক্তিত্বের ব্যাধিগুলির ঝুঁকি বাড়ায়?

• ব্যক্তিত্বের রোগের পারিবারিক ইতিহাস

• অপমানজনক শৈশব

ব্যক্তিত্ব ব্যাধির ধরন কি কি?ব্যক্তিত্বের ব্যাধিগুলি কিশোর বয়সে শুরু হয় এবং দীর্ঘকাল স্থায়ী হতে পারে। অনেক ধরনের ব্যক্তিত্বের ব্যাধি রয়েছে:

• অসামাজিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধি হল এমন একটি ব্যাধি যেখানে ব্যক্তি অন্যের চাহিদা এবং অনুভূতির প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা করে। এটি ধারাবাহিকভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং আবেগপ্রবণ আচরণ এবং অন্যের অধিকারের বারবার লঙ্ঘন জড়িত৷

• অ্যাভয়েডেন্ট পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার হল এমন একটি অবস্থা যেখানে রোগী অত্যন্ত লাজুক, সমালোচনার প্রতি অতি সংবেদনশীল এবং অপর্যাপ্ততার অনুভূতি অনুভব করেন।

• বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার আবেগপ্রবণ এবং বেপরোয়া আচরণ, তীব্র আবেগ এবং অস্থির সম্পর্ক দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এই অবস্থার একজন ব্যক্তির অর্থহীন রাগ এবং এমনকি বারবার আত্মহত্যার প্রচেষ্টার সাথে শূন্যতার তীব্র অনুভূতি হতে পারে।

• নির্ভরশীল ব্যক্তিত্বের ব্যাধি এর বৈশিষ্ট্যগুলি বশ্যতা এবং যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এই ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অন্যদের কাছ থেকে আশ্বাস ছাড়া সহজতম সিদ্ধান্ত নিতেও ব্যর্থ হন৷

• হিস্ট্রিওনিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার অত্যধিক মনোযোগ চাওয়ার আচরণ এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল মেজাজ এবং আবেগ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।

• নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার নিজের গুরুত্বের অযৌক্তিক অনুভূতি এবং সহানুভূতির সম্পূর্ণ অভাব সহ প্রশংসার জন্য আবেশী প্রয়োজন জড়িত।

• অবসেসিভ কম্পালসিভ পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার এর সাথে সুশৃঙ্খলতা, নিখুঁততা এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশদ বিবরণের উপর অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া জড়িত।

• প্যারানয়েড পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার সন্দেহ এবং অন্যের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থার অভাব দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।

• স্কিজয়েড পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং মানসিক প্রকাশের অভাব জড়িত।

• Schizotypal পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার হল এমন একটি অবস্থা যেখানে রোগী উদ্ভট আচরণ এবং বিকৃত চিন্তাভাবনা প্রদর্শন করে। তার সামাজিক উদ্বেগ থাকতে পারে এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব অস্বস্তিকর হতে পারে।

কীভাবে ব্যক্তিত্বের ব্যাধি নির্ণয় করা হয়?মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিত্বের ব্যাধি নির্ণয়ের জন্য নিম্নলিখিত মূল্যায়ন পরিচালনা করতে পারেন:রোগীকে একাধিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে গভীরভাবে অনুসন্ধান করুন।অন্যান্য চিকিৎসার কারণ, অ্যালকোহল বা ওষুধ বাতিল করার জন্য ল্যাব এবং স্ক্রীনিং পরীক্ষা।রোগীর চিন্তাভাবনা, আবেগ এবং আচরণ সম্পর্কে আলোচনার মাধ্যমে মানসিক মূল্যায়ন।চিকিৎসার বিকল্প কি?চিকিত্সার ধরন নির্ভর করে রোগীর ব্যক্তিত্বের ব্যাধি, ব্যাধির তীব্রতা এবং তার বর্তমান জীবন পরিস্থিতির উপর। যেহেতু ব্যক্তিত্বের ব্যাধিগুলি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাদের কয়েক মাস বা এমনকি বছর ধরে চিকিত্সার প্রয়োজন হয়।কিছু চিকিত্সার বিকল্পগুলির মধ্যে নিম্নলিখিতগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:

• সাইকোথেরাপি

সাইকোথেরাপি রোগীকে তার আচরণ বুঝতে এবং চিন্তার ধরণ বা অনুভূতি সনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে যা ট্রিগার হিসাবে কাজ করে। একজন ভালো সাইকোথেরাপিস্ট রোগীকে উপসর্গের সঙ্গে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে শিখতে সাহায্য করতে পারেন। সাইকোথেরাপির সবচেয়ে কার্যকর কিছুর মধ্যে রয়েছে:

• কগনিটিভ আচরণগত থেরাপি

• সাইকোডাইনামিক থেরাপি

• দ্বান্দ্বিক আচরণ থেরাপি

• ফার্মাকোথেরাপি

অনেক ধরনের ওষুধ আছে যা ব্যক্তিত্বের ব্যাধিগুলির লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে৷ এর মধ্যে কয়েকটি অন্তর্ভুক্ত:

• অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস রাগ, দুঃখ বা আবেগপ্রবণ আচরণে সাহায্য করার জন্য।

• মেজাজ স্থিতিশীলকারী বিরক্তি এবং আগ্রাসন কমাতে এবং এমনকি মেজাজের পরিবর্তনও দূর করতে।

• অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধ যদি রোগীর সাইকোসিস হয়।

• অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি ওষুধ রোগীর ঘুমহীনতা বা তীব্র উদ্বেগের জন্য সাহায্য করে।

আলঝাইমার হল একটি নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ যা জ্ঞানীয় হ্রাস এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাস করে। এটি ডিমেনশিয়ার সবচেয়ে সাধারণ রূপ।আল্জ্হেইমের রোগীর মানসিক ক্ষমতার পতন দীর্ঘস্থায়ী এবং প্রগতিশীল উভয়ই। যাইহোক, সংশ্লিষ্ট মনস্তাত্ত্বিক সমস্যাগুলি রোগীর মানসিক ও মানসিক অবস্থার উপর নির্ভর করে ওঠানামা করতে থাকে। যেমন, চিকিত্সকরা চিকিত্সা পরিকল্পনার মূল অংশ হিসাবে সাইকোথেরাপির উপর জোর দেন।লক্ষণগুলি কী কী?

একজন আল্জ্হেইমার রোগী নিম্নলিখিতগুলি অনুভব করতে পারে:

• নতুন তথ্য মনে রাখার ক্ষমতা কমে গেছে।

• মুখ বা সাধারণ বস্তু চিনতে না পারা

• প্রতিবন্ধী যুক্তি বা বিচার অনুশীলনে অসুবিধা

• সাধারণ শব্দ মনে রাখতে অসুবিধা

• ব্যক্তিত্ব বা আচরণে পরিবর্তন

ঝুঁকির কারণগুলি কী?

• বয়স: আলঝেইমার সাধারণত ৬৫ বছরের বেশি বয়সী রোগীদের হয়।

• পারিবারিক ইতিহাস: একজন ব্যক্তির এটি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে যদি তার পরিবারের কোনো ঘনিষ্ঠ সদস্য এই শর্তে থাকে।

• জিন: কিছু জিন এই রোগের সাথে যুক্ত।

কিভাবে সাইকোথেরাপি সাহায্য করতে পারে?সাইকোথেরাপি রোগীকে রোগের কারণে উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা মোকাবেলা করতে সাহায্য করতে পারে। এটি আচরণগত ব্যাধিতেও সাহায্য করতে পারে যেমন এর সাথে সম্পর্কিত বিভ্রম। একজন থেরাপিস্ট রোগীকে তাদের রোগ নির্ণয় করতে সাহায্য করতে পারেন এবং পরিস্থিতির প্রতি তাদের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত করতে পারেন।

ডিমেনশিয়া হল একটি সম্মিলিত শব্দ যা স্মৃতিশক্তি, চিন্তাভাবনা, অভিযোজন, ভাষা বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো মানসিক ক্ষমতার প্রগতিশীল অবনতিকে বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়। যদিও ডিমেনশিয়া সাধারণত বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের প্রভাবিত করে, এটি বার্ধক্য প্রক্রিয়ার একটি স্বাভাবিক অংশ নয়। আলঝেইমার হল ডিমেনশিয়ার সবচেয়ে সাধারণ রূপ।এই রোগটি রোগীর পাশাপাশি তার যত্নশীলদের উপর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলে।ডিমেনশিয়ার সাধারণ লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কী কী?

• স্মৃতি হারানো

• শব্দ মনে রাখতে অসুবিধা

• প্রাথমিক সমস্যা যুক্তি বা সমাধান করতে না পারা

• সমন্বয় এবং মোটর ফাংশন সঙ্গে অসুবিধা

• বিভ্রান্তি এবং বিভ্রান্তি

• দর্শন এবং স্থানিক ক্ষমতার সাথে অসুবিধা

• ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন

• আবেগ নিয়ন্ত্রণের অভাব

• হ্যালুসিনেশন

• বিষণ্নতা এবং উদ্বেগ

• প্যারানিয়া

ঝুঁকির কারণগুলি কী?

• 65 বছর বা তার বেশি বয়স

• পারিবারিক ইতিহাস

• অস্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং ব্যায়ামের অভাব

• উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল

• স্থূলতা এবং ডায়াবেটিস

• ধূমপান এবং অ্যালকোহল

• ভিটামিন এবং পুষ্টির ঘাটতি

কিভাবে এর চিকিৎসা করা যায়?ডিমেনশিয়ার চিকিৎসা শুরু হয় অন্তর্নিহিত কারণ যেমন পুষ্টির ঘাটতি, হরমোনের পরিবর্তন, গৃহশিক্ষক বা ড্রাগ সম্পর্কিত ডিমেনশিয়া শনাক্তকরণ এবং চিকিত্সার মাধ্যমে। কিছু ক্ষেত্রে, যেখানে আল্জ্হেইমার্সের মতো নিরাময় পাওয়া যায় না, চিকিত্সার লক্ষ্য জ্ঞানীয় এবং আচরণগত লক্ষণগুলি কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যেতে পারে।ডিমেনশিয়ার চিকিৎসায় ওষুধ, সাইকোথেরাপি এবং পরিবেশগত পরিবর্তনের সংমিশ্রণ কার্যকর হতে পারে। কিছু মনোসামাজিক হস্তক্ষেপ যেমন আচরণ ভিত্তিক থেরাপি, ইমোশন ওরিয়েন্টেড থেরাপি, কগনিশন ওরিয়েন্টেড থেরাপি এবং স্টিমুলেশন ওরিয়েন্টেড থেরাপিও রোগীর জন্য উপকারী হতে পারে।